পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে যানজট ভোগান্তিকে সঙ্গে নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ার মানুষ। নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৭ জেলার মানুষ চলাচল করায় অতিরিক্ত চাপ সবসময় থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে এ চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। বৃহস্পতিবার থেকে মূল ঈদযাত্রা শুরু হলেও আজ শনিবার দুপুরের পর থেকে শুরু হয় শেষ মুহূর্তের চাপ।
আজ শনিবার সন্ধ্যার দিকে মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি-মোড় এলাকায় যাত্রীদের তীব্র চাপ চোখে পড়ে। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও যানজট নিরসনে কাজ করতে দেখা গেছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের।
সরেজমিনে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ছাড়াও বলিভদ্র, শ্রীপুর, চক্রবর্তী, বিকেএসপি, জিরানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়ির ধীর গতি চোখে পড়েছে। চন্দ্রামুখী লেনে গাড়ির প্রচুর চাপ থাকলেও ঢাকা বা নবীনগর মুখী লেন বেশির ভাগ সময় ফাঁকাই মনে হয়েছে। তবে চন্দ্রায় অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে জ্যাম কিছুক্ষণ পরপরই বাড়ইপাড়া কিংবা কবিরপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে আসতে দেখা গেছে। রাত পৌনে ৮ টার দিকে চন্দ্রা থেকে জিরানী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি যানজট ছিল।
এছাড়া সাভারের আরেকটি মহাসড়ক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। ঢাকার গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত কিছুটা চাপ থাকলেও তেমন যানজট চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র বিশমাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে নবীনগর স্ট্যান্ড পর্যন্ত গাড়ির ধীর গতি রয়েছে। এছাড়া ঢাকামুখী লেনে নয়ারহাট থেকে নবীনগর এবং আমিনবাজারে যানজট দেখা গিয়েছে।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী সুমন মৃধা বলেন, ‘নাটোর যাবো। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আগে যে বাসের ভাড়া ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা সেই বাস এখন ভাড়া চায় ১ হাজার টাকা। তাও সিটও পাচ্ছি না। তাই দাঁড়িয়ে আছি।’
সাভার হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো নজরদারির মধ্যে রেখেছি যেন যানজট না লাগতে পারে। আমাদের সঙ্গে থানা-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি পুলিশসহ সবাই একযোগে কাজ করছে। আজ রাতের মধ্যেই অতিরিক্ত চাপ শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।’