গাজীপুরের টঙ্গীর পাখির হাটে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ২০টি বন্য প্রাণী ও পাখি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। পরে সেগুলো গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্ক বা ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। তবে পালিয়ে যান এসব পাখি ও প্রাণী বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার।
পাখির হাটটি টঙ্গীর সেনাকল্যাণ ভবনের এলাকায়। স্থানীয় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের ঠিক সামনের রাস্তায় প্রতি রোববার বসে এটি। এ হাটে গাজীপুর, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের লোকজন আসেন বিভিন্ন পাখি ও পোষা প্রাণী বেচাকেনার জন্য। প্রতি রোববারের মতো আজও সকাল থেকে বসেছিল হাটটি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকাল থেকেই হাটে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন আসতে থাকেন। সকাল ৮টার আগেই মানুষে ভরে যায় পুরো হাট। এর মাঝে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ বাজারে প্রবেশ করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এর মাঝে কিছু বিক্রেতারা অভিযান দেখেই পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি তক্ষক, একটি বাঘডাশ, ছয়টি বেগুনি কালিম পাখি, আটটি ঘুঘু এবং চারটি টিয়া পাখিসহ মোট ২০টি বন্য প্রাণী।
বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা বলেন, ‘বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী এসব পাখি ও প্রাণী ধরা, বিক্রি বা পালার উদ্দেশ্যে রাখা অপরাধ। এই আইনের ব্যত্যয় ঘটায় আমরা হাটটিতে অভিযান চালিয়েছি। তবে এসব প্রাণী বিক্রির সঙ্গে জড়িতরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান। পরবর্তী সময় বিকেলে প্রাণীগুলোকে আমরা ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম, জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কাজী নাজমুল হক ও ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানাসহ অন্যরা।