রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে স্বামীর সন্দেহের বলি হতে হলো গার্মেন্টসকর্মী সাথি আক্তারের। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে পেছন থেকে রাস্তায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ যায় এই নারীর। গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক স্বামী আবদুল হান্নানকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবী থানার সেকশন ৭-এর ৪ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা সাথিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সাথির বাবা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম।
পারভেজ ইসলাম জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নিহত সাথির বাবার দায়ের করা মামলায় হান্নানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে হান্নানের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়েছে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাতক হান্নান দীর্ঘদিন ধরে বেকার। সে কোনো ধরনের কাজ করত না। পরিবারের কোনো ধরনের খরচ বহন করত না। এমনকি টাকা-পয়সা চাইলে স্ত্রীকে মারধর করত। স্ত্রী সাথি আক্তারের অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে নির্যাতন করত। এই সন্দেহের কারণে তাঁদের মধ্যে একটি দূরত্ব সৃষ্টি হয়। দুই বছর ধরে দুজনেই আলাদা থাকত। তাঁদের সংসারে একটি ছেলে রয়েছে। সাথি কয়েক দিন আগে খুলনার বাগেরহাট থেকে মিরপুরের পল্লবীতে এসে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। হান্নান এক দিন আগে স্ত্রীর খোঁজে ঢাকায় আসে। স্ত্রী বাসা ও কর্মস্থল না চিনলেও মিরপুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে খুঁজতে থাকে। গতকাল হঠাৎ সেকশন ৭-এর ৪ নম্বর রোডে স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে পেছন থেকে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আহত সাথির চিৎকারে কয়েকজন হান্নানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।’