রাজধানীর সাত সরকারি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত কাঠামো এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজের অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা জানায়।
একই সঙ্গে বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোর কোনো পরিবর্তন বা সংকোচন; যা উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে—এমন সিদ্ধান্ত তারা মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয়। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই উদ্যোগের কোথাও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলে, গতকাল রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের দাবি জানায়। তবে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ আইনি সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে সেই দাবি নাকচ করে দেয়।
এর আগে গত বুধবার ঢাকার এ সাত কলেজের কয়েক শ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সামনে মানববন্ধন করেন এবং ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
অন্যদিকে প্রস্তাবিত কাঠামোয় নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করে আসা শিক্ষার্থীদের একাংশ।
গত আগস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে হবে। তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। এ কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কলেজগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে কলেজগুলোকে অধিভুক্তি থেকে সরানো হয় এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।