মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিগত শুক্রবার যে মাঠে ফুটবল খেলেছেন, সেই মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোর আগুনে নিহত ফায়ারম্যান রানা মিয়ার (২২)। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম খেলার মাঠে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস পৃথকভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানিয়ে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় রানার মরদেহ নবগ্রাম এলাকায় নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় পরিবার ও স্বজনের কান্নায় এলাকার শোকের মাতম সৃষ্টি হয়। রানার মা-বাবা ও ভাই-বোনকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন স্বজনেরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সর উপসহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত রানারা তিন ভাই-বোন। তাঁর ছোট ভাইয়ের নাম সাজেদুল মিয়া ও বোনের নাম বন্যা আক্তার। রানাদের মূল বাড়ি শিবালয় উপজেলার তেওতা এলাকায়। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে নানার বাড়ি নবগ্রামে থেকে পড়াশোনা করেছেন। রানা ছুটিতে গ্রামে আসলে খেলাধুলার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজও করতেন। ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রানা চট্টগ্রামের কমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মরত ছিলেন।
একই কথা বলেন মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সর সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শুধু রানা নয় আমাদের আরও সহকর্মীরা নিহত হয়েছেন। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। যেহেতু রানার পরিবারটি অসচ্ছল তাই তাঁর পরিবারকে যেকোনো সহযোগিতা করাসহ, তাঁর ছোট ভাইকে কীভাবে চাকরির ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যাপারে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা হবে।’