এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত ও শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আন্দোলনরত পাঁচ-ছয়জন শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। তবে কী অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে, পুলিশের পক্ষ থেকে তা জানানো হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আটক শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সালমান ফার্সী। তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম, পরিচয় নিশ্চিত করে ছেড়ে দেওয়া হবে। মামলা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
এর আগে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথমে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান নেয়। সেখানে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে দুপুরে আবার সায়েন্স ল্যাব ও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। এ সময় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টা নাগাদ তাদের শাহবাগ মোড় থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাস্তা না ছাড়লে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের রাস্তা ছাড়তে বলা হয়। তাতে শিক্ষার্থীরা রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে পাঁচ-ছয়জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০ মার্কের পরীক্ষা নেওয়া, পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দেওয়া, ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয় এবং পরীক্ষা থেকে আইসিটি সাবজেক্ট বাদ দেওয়ার দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার জন্য মাত্র ১৫ মাস সময় পেয়েছি। আমাদের সিলেবাস শেষ হয়নি। সেখানে ১০০ মার্কসের পরীক্ষা কীভাবে দেব। তার ওপর আবার যুক্ত হয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এই অবস্থায় আমরা চাই পরীক্ষা দুই মাস পেছানো হোক। আর পরীক্ষা নেওয়া হোক ৫০ মার্কসে। এমন আরও দুটি দাবি আমাদের।’
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে এসে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আর পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে আন্দোলনের কথা আপনার কাছেই শুনলাম। এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি। এমন কোনো আবেদনও পাইনি।’