ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার ২২টি কারখানা বন্ধ ছিল।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল অব্যাহত আছে। বিভিন্ন কারখানা ও কারখানাসংলগ্ন সড়কে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ বলেছে, আজ সকালে সাভার ও আশুলিয়ার প্রায় সব কারখানা খুলেছে। শ্রমিকেরা নির্দিষ্ট সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে কাজে যোগ দেন। এরপর কোনো অসন্তোষ ছাড়াই দিনভর কারখানাগুলোয় উৎপাদন চলেছে। তবে শিল্প আইনের ১৩ (১) ধারায় ১৬টি কারখানা বন্ধ ছিল এদিন। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ছয়টি কারখানায়।
শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারাতে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বে-আইনি ধর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে পারবেন; এমন বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকেরা কোনো মজুরি পাবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি পোশাক কারখানার মালিক বলেন, ‘কারখানার ভেতরের এবং বাইরে নানা কারণে এই অঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিজিএমইএ, কারখানার মালিকদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা এবং সর্বোপরি শ্রমিকদের সহিষ্ণুতার কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে কারখানাগুলোয় উৎপাদন বেড়েছে। এ পরিবেশ অব্যাহত থাকলে গত কয়েক দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।’
শিল্প পুলিশ-১-এর (আশুলিয়া) পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আজ প্রায় সব কারখানাই খুলেছে। কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ২২টি কারখানা বন্ধ ছিল।