হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ভাষণ প্রচার করলে গণমাধ্যম হাসিনাকে সহযোগিতা করছে ধরে নিতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য দেন আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

কোনো গণমাধ্যম শেখ হাসিনার ভাষণ প্রচার করলে সেটি তাঁকে সহযোগিতা করছে ধরে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ প্রসঙ্গ এ দেশে আর নেই। শেখ হাসিনার ভাষণ যদি এখন কোনো গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়, তাহলে সে গণমাধ্যম শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করছে বলে ধরে নিতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক জনমত কর্মসূচি চালু প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘হাসিনার ভাষণ যদি কোনো মিডিয়াতে প্রচার করা হয়, ধরে নেব সেই মিডিয়া হাসিনাকে ফ্যাসিলিটেট করছে এবং জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। হাসিনার প্রশ্নে কোনো সুশীলতা নয়।’

হাসনাত আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ক্লোজড। তারা যদি প্রাসঙ্গিক থাকতই, তাহলে ৫ আগস্ট পালায়ে যাইতে হইত না।’

গণমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘মিডিয়ায় এখনো দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়। উনি কি সাবেক, নাকি ফ্যাসিবাদের বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড? তিনি এই বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। কেন মিডিয়াতে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না? ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা যদি না লেখেন বা না বলেন, আপনারা আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া রয়েছে, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।’

হাসনাত বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, একটি নতুন রাজনৈতিক দল কর্তৃক জনমত গ্রহণের উদ্দেশ্যে গৃহীত সবচেয়ে বড় পরামর্শমূলক প্রচেষ্টা এই ক্যাম্পেইন। আমরা শুধু একটি দল শুরু করছি না। আমরা এমন একটি আন্দোলন শুরু করছি যেখানে একজন পোশাক শ্রমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পর্যন্ত প্রত্যেক নাগরিকের তাদের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন নীতিগুলো গঠনে মতামত রাখবেন।

তিনি বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি সুন্দর রাজনৈতিক দলের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সে আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে আমরা একটি সুন্দর রাজনৈতিক দল মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য এই ক্যাম্পেইন চালু করেছি।’ মতামতের ভিত্তিতেই নতুন দলের নাম ও মার্কা নির্ধারিত হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

বড়দিন উপলক্ষ ২১টি গির্জায় আর্থিক প্রণোদনা দিল ডিএনসিসি

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

রাজনীতিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে গালাগালিতে শত্রুরা উপকৃত হয়: ড. মাহবুব উল্লাহ

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৫ জন কারাগারে

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

দিপু চন্দ্র দাস ও শিশু আয়েশা হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক শক্তি বিক্ষোভ সমাবেশ

আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করল ডিএনসিসি