মানিকগঞ্জের নাগরপুর থেকে তিনটি গরু নিয়ে রাজধানীর গাবতলী হাটে এসেছেন পিকআপচালক ইমরান শেখ। হাটে ব্যাপারীর গরু নামিয়ে ফিরবেন গন্তব্যে। গত কয়েক দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার এসেছেন গাবতলী হাটে। প্রতিদিন গরু নামিয়ে দিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে ফিরেছেন। কিন্তু আজ ভিন্নভাবে যাচ্ছেন ইমরান। গরু নিয়ে আসা গাড়িতেই আবার মানুষ নিয়ে যাচ্ছেন। তার ছোট পিকআপে বসিয়েছেন ১৫ জন। সিঙ্গাইর হয়ে মানিকগঞ্জে যাবেন। ভাড়া হাঁকাচ্ছেন ৩০০ করে। গাড়ি থামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নারী ও পুরুষ যাত্রীতে তাঁর গাড়ি পূর্ণ হয়ে গেল।
ইমরান বলেন, আসার সময় গরু নিয়ে এসেছিলাম। এখন মানুষ নিয়ে যাচ্ছি। মানিকগঞ্জ পর্যন্ত জনপ্রতি ৩০০ করে নিচ্ছি। কথা বলতে বলতেই গাড়ি টান দেওয়ার তাড়া দিলেন তাঁর গাড়িতে চেপে বসা যাত্রীরা।
ট্রাকে এভাবে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মিনারা বেগম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাবা-মায়ের কাছে যাব। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি নেই। এখন এভাবে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা কোনো বাসই আর যাত্রী নিচ্ছে না। লোকাল বাসেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। তাই তারাও আর টার্মিনাল থেকে রাস্তায় এসে যাত্রী তুলছে না। প্রতি গাড়ির দরজা বন্ধ। আর এই বন্ধ দরজা খোলার অনুরোধ জানিয়ে কড়া নাড়ছে অপেক্ষায় থাকা মানুষ। কিন্তু কেউ রাখছে না তাদের সেই অনুরোধ। মাথার ওপর গরম আর সড়কে উড়তে থাকা ধুলোয় বাড়ছে তাদের অপেক্ষার প্রহর।