হোম > সারা দেশ > ঢাকা

রেলের চাকার সঙ্গে বন্ধ তাঁদের আয়ও

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২২ জুন দিবাগত রাত ১২টার পর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রেলস্টেশনকেন্দ্রিক পেশাজীবীরা।

লকডাউনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও বিমানবন্দর স্টেশনে সিগারেটের ডালা নিয়ে বসে আছেন মনির হোসেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে। বর্তমানে কাওলা এলাকায় ভাড়া থাকেন তিনি। মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখানে পান–সিগারেট বিক্রি করি আট বছর ধইরা। আগে দিনে দুই হাজার–আড়াই হাজার টাকা বেচাবিক্রি করছি। এখন কাস্টমার নাই, তাই অর্ধেকও বেচতে পারি না।’

মনির বলেন, ‘এই অবস্থায় খেয়ে না–খেয়ে কোনো রকমে দিন পার করতে হইতাছে। ঘরভাড়াও দিতে পারছি না।’

২০০৩ সাল থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে রিকশা চালান শেরপুরের আব্দুল মজিদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে রেল আসত–যাইত। তাই যাত্রীর অভাব ছিল না। এহন বাস, রেল, বিমান বন্ধ; তাই যাত্রী নাই। আগে দিনে আট শ-এক হাজার টাকা কামাইতাম। এখন কামাই দুই–আড়াই শ।’

মজিদ বলেন, ‘আমি নদ্দাপাড়ায় ভাড়া থাকি। ঘরে নানি, বউ আর এক পোলা আছে। যেই টাকা কামাই, তা দিয়া খাওন জোগানোই কষ্ট। ছয় মাসের ঘরভাড়াও বাকি পড়েছে।’ 
বিমানবন্দরে ভাসমান টোকাই রাসেল বলেন, ‘আগে মানুষজন যাতায়াত করত। হাত পাতলে কিছু না কিছু দিয়ে সহযোগিতা করত। কিন্তু এখন ট্রেন বন্ধ। তাই আমাদের প্রায় না খেয়েই থাকতে হচ্ছে।’

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার যুবক মনির হোসেন। স্টেশনে পরিত্যক্ত পানির বোতলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়াতেন। পরে তা বিক্রি করে নিজে চলতেন, মাঝেমধ্যে মা-বাবাকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতেন। মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে দিনে ২০০–৩০০ টাকা কামাইতাম। এখন সারা দিন বইসা থাকি। কোনো কামকাজ নাই। কেউ দিলে খাই, না দিলে না খাইয়া থাকি।’

খুলনার খালিশপুরের ফজলুল হক গাজীর ছেলে মো. সোহেল। বিমানবন্দরে স্টেশনে সাহায্য তুলে সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘আগে ট্রাক চালাইতাম। দুর্ঘটনায় এক পা পঙ্গু হয়ে গেছে। তাই ৯ বছর ধরে বিমানবন্দরে সাহায্য তুলে সংসার চালাই। কিন্তু লকডাউনের কারণে সবকিছু বন্ধ। ইনকাম কম। তাই বউ–বাচ্চা নিয়া কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।’ 
বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশন এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির