পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সকাল থেকে বাড়ছে যানবাহনের চাপ। আজ রোববার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীর তুলনায় দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা কম হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
দীর্ঘ লকডাউনের পর ছুটি হওয়ায় এবার রাস্তায় মানুষের ভিড় বেশি, তাই তাদের নিরাপত্তাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তেমন যানজট না থাকলেও যানবাহনে চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। যার কারণে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কালিয়াকৈর-নবীনগর সড়কের চন্দ্রার পর জিরানী থেকে ইপিজেড পর্যন্ত যানজট থাকায় মাঝেমধ্যেই সেই যানজট দীর্ঘ হয়ে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।
চন্দ্রা ত্রিমোড়ে একতা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার খায়রুল আলম বলেন, তাদের পরিবহনের ড্রাইভার ও স্টাফগন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সড়কে গাড়ি চালাচ্ছেন। তবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পাবনাগামী শ্যামলী পরিবহনের ড্রাইভার জাহিদুল হাসান জানান, আমরা এক সিট ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছি। সরকার ঘোষিত ঈদের পরে দীর্ঘ লকডাউন থাকার কারণে অনেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়িতে ভিড় করছে।
কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানজট নেই বললেই চলে। তবে মাঝেমধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সেই চাপ সামলানোর জন্য চন্দ্রা ত্রিমোড়সহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা যানজট নিরসনে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। যানজট নিরসনের পুলিশ সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল টিম প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।