রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার শাস্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ওই ঘটনায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এছাড়া ঘটনায় জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ঘটনায় গঠিত কমিটিকে একই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট নয় জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। এর আগে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় গতকাল বুধবার হাইকোর্টে রিট করেন হুমায়ন কবির পল্লব।
এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল বলেন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুনানিতে বলেছি, ওই ঘটনায় বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। তাছাড়া বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থে মামলা চলতে পারে না। যেখানে জনগণ ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানে রিট হতে পারে।
শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাঁর স্থানীয় অপসারণ দাবি করে গতকাল থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
জানা গেছে, শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়টি তদন্তের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগ বাদ রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভিসির কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।