রাজধানীর শান্তিনগরের চামেলীবাগের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক স্কুলছাত্রী (১৩) আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। সে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চামেলীবাগের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় স্বজনেরা ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিথিলা লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার শাংকিভাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। শান্তিবাগের চামেলীবাগের বাসায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকত। সে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মিথিলা ছিল সবার বড়।
বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত রাতে আমার ছেলে-মেয়েরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি করছিল। এ সময় তাদের মা মিথিলাকে বকাঝকা করে। এতে মিথিলা অভিমান করে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খোলে না। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায় মিথিলা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ভোরে ওই শিক্ষার্থীকে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনেরা জানায় সে গলায় ফাঁসি দিয়েছিল।’
পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জেসমিন আক্তার বলেন, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে চামেলীবাগের বাসায় গলায় ফাঁসি দেয় ওই শিক্ষার্থী। পরে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে মারা যায়। তবে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।