নরসিংদীর পলাশে এক কিশোরীকে (১৬) কলাবাগানে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় আজিজুর রহমান মোল্লা (১৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানা-পুলিশ।
এর আগে ১০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে পলাশ থানার চলনা এলাকায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে গত বুধবার ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আজিজুর রহমান মোল্লা (১৮) ও একই এলাকার ইয়াছিন প্রধানকে (৩০) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পলাশ থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আজিজুর রহমান মোল্লা চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা মধ্যপাড়া এলাকার রহিম উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ওই কিশোরী (১৬) শিবপুরের একটি টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক।
ওই কিশোরীর বাবা জানান, প্রায় তিন মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর মেয়ের সঙ্গে আজিজুলের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে তারা একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করত। ১০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে তাঁর মেয়ে শিবপুরের বড়ইতলা এলাকায় আজিজুলের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় আজিজুল তাকে সিএনজি করে পলাশ থানার চলনা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই একই গ্রামের ইয়াছিন প্রধান নামে অপর এক যুবক অবস্থান করছিলেন। পরে তাঁরা মেয়েটিকে মঞ্জু শেখ নামে একজনের কলাখেতের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে এসে চুপচাপ থাকে মেয়েটি। একপর্যায়ে তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ জানালে থানায় এসে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মেয়েটির বাবা।
পলাশ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছাড়া কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।