মাটির বুদ্ধ। সাধারণত মহামতি গৌতম বুদ্ধকে যে ধ্যানস্থ বসার ভঙ্গিতে দেখা যায়, এটি তেমন নয়। মাথা কাত করে এক পাশে হাতের দিকে এলিয়ে দেওয়া। আছে সুই–সুতা দিয়ে তৈরি করা বুদ্ধের চিত্র। ছাই দিয়েও আঁকা হয়েছে তাঁর ছবি।
বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক গৌতম বুদ্ধের এমন নানা রূপ তুলে ধরেছেন শিল্পীরা ‘পবিত্র শান্তির জাগরণ: বাংলার বুদ্ধ’ শিরোনামের এক প্রদর্শনীতে। ৭৩ জন শিল্পীর কাজ রয়েছে এতে। গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে নিজেদের অনুভূতি তুলে এনেছেন তাঁরা।
গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির আঁলিয়স ফ্রঁসেজে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।
প্রদর্শনীর কিউরেটর মিখাইল ইদ্রিস বলেন, এই প্রদর্শনী বুদ্ধের দর্শনের আধ্যাত্মিক গভীরতাকে উদ্যাপন করছে। উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে শিল্পকর্ম নির্বাচন করা হয়েছে। এতে বিশেষ করে প্রাচ্যরীতির অন্যতম আদর্শ ‘ভাব’-এর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আঁলিয়স ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রাঁসোয়া ঘ্রোজ। বক্তব্য দেন প্রাচ্য-চিত্রকলা অনুশীলন সংঘের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মলয় বালা।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে প্রাচ্য-চিত্রকলা অনুশীলন সংঘ ও লার্নিং ডিজাইন স্টুডিও বার্ষিক এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। এবার তাদের তৃতীয় প্রদর্শনী।
‘পবিত্র শান্তির জাগরণ: বাংলার বুদ্ধ’ প্রদর্শনীতে আছে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, সিরামিকসহ বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ। ঐতিহ্যবাহী কৌশল ও সমসাময়িক শৈল্পিক ভাষার সংমিশ্রণ ঘটেছে এসব শিল্পকর্মে। মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে তেলরং, জলরং, গোয়াশ, ওয়াশ, এগ টেম্পারা, রিভার্স পেইন্টিং, বাটিক, চারকোল, কলম ইত্যাদি। এমনকি অগ্নিদগ্ধ বঙ্গবাজারের ছাই দিয়েও শিল্পকর্ম তৈরি হয়েছে, যাকে দেখানো হচ্ছে রূপান্তর ও পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে রয়েছে রিকশাচিত্র, সিনেমার ব্যানার চিত্র, ক্যালিগ্রাফি, সুই–সুতার কাজ ইত্যাদি।