রাজধানীর বাড্ডার লিংক রোড এলাকায় বাসায় ঢুকে পরিবারের চার সদস্যের হাত-পা বেঁধে ডাকাতির এক দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মীর ইসতিয়াক হোসেন।
রাত ৯টার দিকে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘লিংক রোডে বাসায় ঢুকে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলা নম্বর ৪৯। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার নেই। আমরা কাজ করছি।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ‘বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাট এলাকার একটি বাসায় ভুক্তভোগী মীর ইসতিয়াক হোসেন পরিবার নিয়ে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে অজ্ঞাত সাত ব্যক্তি তাঁর বাসায় প্রবেশ করে বাবা মীর ইসহাক আলী, মা মর্জিনা বেগম, ছোট লিজা ও তাঁর শিশু ছেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। আমার মাকে একজন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে মা সরে যাওয়ায় ডাকাত দলের একজনের হাতে লেগে কেটে যায়। এ সময় আলমারির চাবি দিতে বলে। চাবি না দিলে শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময়ে তাদের হাতে দেশি চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল ছিল। পরে আমার বাবার রুমের কাঠের আলমারি খুলে ড্রয়ারে থাকা নগদ ১১ লাখ ৩ হাজার টাকা ও ছোট বোনের স্টিলের আলমারিতে থাকা ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৯ ভরি স্বর্ণালংকার, ডায়মন্ডের আংটি, নাকফুল ও নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।’
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘ডাকাতেরা যখন আমার বাসা লুট করছিল, তখন দোকানের দুই কর্মচারী মো. সুজন (১৭) ও সোহাগ (১৩) বাসায় খুচরা টাকা আনার জন্য গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলে তাঁদেরও রুমের ভেতরে নিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। ডাকাতেরা আমার বাবাকে বাঁধার সময় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। আমার মা ডাকাতদের আঘাতে আহত হন। অজ্ঞাত ডাকাতদের একজনের বয়স আনুমানিক ৩০, বাকিদের ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। সবার পরনে প্যান্ট ও টি-শার্ট ছিল।’