ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং বর্তমানে দারুসসালাম থানা ছাত্রদলের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ইমরান হাসান জয়। ইমরান ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগ বলছে ‘নাশকতা করতে আসলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তম মাধ্যম দিয়েছে।’
এদিকে, এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান।
ভুক্তভোগী ইমরান হাসান জয় বলেন, ‘আগামীকাল থেকে আমার সেমিস্টার পরীক্ষা, পরীক্ষার জন্য নীলক্ষেতে কিছু বই কিনতে আসছিলাম। বই কিনে এক বন্ধুর সঙ্গে টিএসসিতে দেখা করতে আসি। সেখানে ছাত্রলীগের কিছু পোলাপান আমার থেকে ফোন চেক করে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে ১০-১৫ জন মিলে একটি ঘরে আটকিয়ে মারধর করে। আমার মাথা, হাত, পিঠে আঘাত করে। উপর্যুপরি কিল ও ঘুষি মারে। রাত ৯টার দিকে আমার বন্ধুরা সেখান থেকে উদ্ধার করে, আমি সেন্সলেস ছিলাম, আমার কাছে ১০ হাজার টাকা ছিল সেগুলো নিয়েছে, বিকাশের পিনও নিয়ে নিয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশও আসছিল কিন্তু পুলিশ কিছুই না করে চলে যায়।’
তাদের কাউকে চিনতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলে ইমরান হাসান জয় বলেন, ‘আমি তো অন্য ইউনিভার্সিটির। তাদের কাউকেই চিনতে পারিনি। তবে দেখলে অবশ্যই চিনব।’
এদিকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়। ওই ছেলেটা (ইমরান হাসান জয়) ও রাকিব নামে আরেকজন বাংলা একাডেমিতে নাশকতা করতে আসছিল, সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে।’