‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন’ প্রমাণিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরীন বেগমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ রেহান উদ্দিনের সই করা গেজেটটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭৪ তম সভায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন উল্লেখ করে শিরীন বেগমের সনদ বাতিল করা হয়।
প্রায় এক মাস আগে গেজেট প্রকাশ হলেও তাঁর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের বিষয়টি সামনে আসে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। সনদ বাতিল হওয়ার আগে শিরীন বেগমের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর ছিল ১৯৩১।
শিরীন বেগম মহিলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি একটি বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর স্বামী সামসুল ইসলাম ভুইয়া সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সনদ বাতিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয় শিরীন বেগমকে। তবে তিনি মোবাইল ফোনটি ধরেনি।
বিষয়টি বিব্রতকর উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলের পদ হোল্ড করা আর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া আলাদা বিষয়। তবে কিছুটা বিব্রতকর তো বটেই। আমার বিষয়টি জানা ছিল না। তবে এর মাধ্যমে প্রমাণ করে সরকার সঠিক ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে পুরোপুরি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।’