গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে থমকে গেছে রাজধানীর জনজীবন। এর মধ্যে অনেক মানুষ তার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে ছুটছেন গ্রামের বাড়ি। কেউ কেউ ব্যস্ত আছেন কোরবানির পশু জবাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে। এদিকে রাজধানীর কয়েকটি পোশাক মার্কেট ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের ঈদের তুলনায় কোরবানের ঈদে এমনিতে বেচাবিক্রি কম থাকে। তার ওপর সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেনি। ফলে নীরস মুখে সকাল থেকে বসে আছেন অধিকাংশ দোকানি।
ধানমন্ডির রাপাপ্লাজার ডায়না ডিপার্টমেন্ট স্টোরের বিক্রেতা সুমন আহমেদ বলেন, কোরবানের ঈদে তো সবাই গরু-ছাগল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পোশাক কম কেনে। এবার ঈদে বিক্রি অনেক কম হয়েছে। ঈদের বাজারের শেষ দিন বৃষ্টির কারণে মার্কেটে কোনো ক্রেতা আসেনি।
রাপাপ্লাজায় কসমেটিক ও গার্মেন্টস আইটেম বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে কিছুই বিক্রি করতে পারেননি। রাত পর্যন্ত ক্রেতার অপেক্ষা করবেন। তারপর পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যাবেন।
তবে বৃষ্টির মধ্যেও নারীদের পোশাক আইটেম মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন নয়া পিরান বুটিকসের মালিক লাবলী। তিনি জানান, বৃষ্টি না হলে আরও বেশি বিক্রি হতো।
রাজধানীর মগবাজার এলাকার বিশাল সেন্টার, মৌচাক মার্কেট, ফরচুন শপিং মলেও কোনো ক্রেতা চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই ক্রেতার অপেক্ষা করছেন। বিশাল সেন্টারের প্রিয়া ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ম্যানেজার রাসেল মিয়াজি বলেন, ‘আজকে তেমন কোনো বিক্রি নেই। আমরা বসে আছি অপেক্ষায়। এভাবে বিক্রি কম হলে আমাদের ঈদের আনন্দও কম হবে।’
ফরচুন শপিং মলের স্টোন গ্যালারির বিক্রেতা মনির জানান, তাঁর দোকানের অধিকাংশ কসমেটিক আইটেম। যা ঈদের সময় বেশি বিক্রি হয়। এই ঈদ মৌসুমে ভালো বিক্রি হয়নি। আশা ছিল বিক্রি হবে। কিন্তু পুরো মার্কেট ক্রেতাশূন্য।