শরীয়তপুরে ভাড়া বাসা থেকে নাসিমা আক্তার (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাসিমা জেলার ডামুড্যা উপজেলার চর নারায়ণপুর গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী মোস্তফা হাওলাদারের স্ত্রী। এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তিনি ওই ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ছেলে-মেয়ে নিয়ে নাসিমা প্রায় এক বছর যাবৎ ওই ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। গতকাল বুধবার রাতের খাবার খেয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে একই খাটে শুয়েছিলেন নাসিমা। ছেলে-মেয়েরা ঘুমিয়ে পড়লে নাসিমা তাঁর শয়নকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। একপর্যায়ে কাপড় ছিঁড়ে খাটের ওপর নাসিমার মরদেহ পড়ে যায়। ছেলে আব্দুর রহমান টের পেয়ে মাকে ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে পাশের রুমের লোকজন গিয়ে নাসিমাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘নাসিমার পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে দাফন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের সন্দেহ থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দিইনি। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’