পুলিশের বিশেষ শাখা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, দেশের লোকালয়ে জঙ্গিরা স্থান পাচ্ছে না, তাই পাহাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এটিইউর প্রধান বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিরা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তারা দেশের প্রধান ভূমিতে (সমতলে) জায়গা পাচ্ছে না, বিষয়টি পজিটিভ। প্রধান ভূমিতে জায়গা পাচ্ছে না বলেই তারা পাহাড়ে অবস্থান করছে।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে, যেখানে জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য নয়। ওই সব বিস্তীর্ণ এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদীর সহযোগিতা পাচ্ছে জঙ্গিরা। তাদের সঙ্গে আরেকটা সমস্যা হলো, বাস্তুহারা মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী। সেখান থেকে কিছু গ্রুপ এসেছে, আবার পাহাড়ি কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী তাদের স্বার্থের কারণে এই সংগঠনকে সহযোগিতা করছে।
এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে পাহাড়ের জঙ্গিদের নিয়ে পরিস্থিতিটা ঘোলাটে। সেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাব কাজ করছে। এটিইউও গোয়েন্দা তথ্য রাখছে। সেই সব জঙ্গিরা আবার দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কোথায় করছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর রাখছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে যেসব জঙ্গিকে ছিনতাই করা হয়েছে, সেটা শুরু থেকেই আমরা ফলো করছি। এ ধরনের অপরাধীরা সাধারণত দেশের ভেতরে খুব কম থাকে। তাই এদের ধরতে কিছুটা সময় লাগে। তবে আমরা কাজ করছি। আশা করছি তাদের আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’
কুকি চিনের প্রধান কোথায় আছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিনের প্রধান নাথান বম সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। তবে তার বিষয়ে আমরা সবাই কাজ করছি।’