হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশন-১৯০ অনুসমর্থনের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেন্ডার প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের যৌন হয়রানি প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও কেন কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যৌন হয়রানি প্রতিরোধে পৃথক আইন প্রয়োজন, সে বিষয়ে হাইকোর্ট তাঁর রায়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধে কোনো আইন পাস হয়নি।
বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। পুরুষের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখন নারীরা কর্মরত। পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যায়ও তাঁরা পড়ছেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানি উল্লেখযোগ্য। শারীরিক, মানসিক, মৌখিক, বিভিন্নভাবে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিনে দিনে এটি বেড়ে চলেছে এবং ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা যৌন হয়রানি প্রতিরোধে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, `যৌন হয়রানিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন' প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি নিরসনে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর, ২০০৯ সালে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগে তদারক কমিটি গঠন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার নিষ্পত্তি ও বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন করা এবং নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি চর্চার দাবি জানাচ্ছি।'
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়াজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাজমা আক্তার, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দীন মুকুট, মনডিয়াল এফএনভির কনসালট্যান্ট মো. শাহীনুর রহমান। কর্মজীবী নারীর সমন্বয়ক কাজী গুলশান আরা দীপা প্রমুখ।