৮ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন আগামীকাল শনিবার। সমাবর্তনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সিনিয়র গ্র্যাজুয়েটদের উপস্থিতি রূপ নিয়েছে প্রাক্তন-বর্তমানদের মিলনমেলায়। আগামীকাল বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হবে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন ১৫ হাজার ২২৩ জন গ্র্যাজুয়েট। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৬ জন, এমফিল ডিগ্রির ৩৪ জন, পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮১ জন এবং সাপ্তাহিক কোর্সের (স্নাতকোত্তর) ৩ হাজার ৪৬২ জন। সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে সবগুলো বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে।
সমাবর্তন উপলক্ষ্যে গ্র্যাজুয়েটদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। কয়েক দিন ধরেই কালো রঙের গাউন-টুপি-কস্টিউম পরে ক্যাম্পাস ও হলের বিভিন্ন জায়গায় ছবি তোলা, সহপাঠীদের নিয়ে দল বেঁধে গল্প করা এবং ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীরা। এর আগে ৫ম সমাবর্তন হয় ২০১৫ সালে।
সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা লোক প্রশাসন বিভাগের অন্তরা কায়েস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চমৎকার পরিবেশে অসাধারণ অনুভূতি কাজ করছে। ক্যাম্পাসে অবস্থানকালে সমাবর্তন পাওয়ায় বেশি ভালো লাগছে। পাশাপাশি সিনিয়রদের উপস্থিতি আমাদের আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে।’
রেজিস্ট্রার অফিস জানায়, সমাবর্তনে মোট ১২ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অর্থায়ন করবে এক কোটি টাকা। আর বাকি টাকার জোগান দেওয়া হবে সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপাচার্যের দায়িত্ব পাওয়ার পর সমাবর্তন আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সুন্দর ও সুষ্ঠু আয়োজনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’