তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল নাসরিন খান ও মো. শিপনের। থাকতেন গোড়ানের ৯ নম্বর গলিতে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তালতলা মার্কেটে গিয়েছিলেন ফুচকা খেতে। আরও কিছু কেনাকাটা করারও কথা ছিল। কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার সময় তিলপাপাড়ার ১৩ নম্বর রোড এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি তাঁদের রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশা থেকে উভয়েই রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় ময়লার গাড়ির চাকার নিচে চাপা পড়েন নাসরিন বেগম। আহত হন শিপন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন নাসরিন বেগমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। আজ শনিবার সকালে বনশ্রীতে দাফন করা হয় নাসরিন বেগমের মরদেহ। এ ঘটনায় পাগলপ্রায় স্বামী শিপন। উদ্ভ্রান্তের মতো অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণ করছেন।
শিপনের বড় বোন বিউটি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে তারা তালতলায় ফুচকা খেতে বের হয়েছিল। সন্ধ্যা ৮টার সময় ফোনে একজন জানান তারা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। তখন আমরা খিদমাহ হাসপাতালে যাই।’
কোনো মামলা করা হবে কি না, জানতে চাইলে বিউটি বলেন, ‘এভাবে চলে যাবে কখনো ভাবতে পারিনি। যে চলে গেছে সে চলে গেছে।’
বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর আনিসুর রহমান আনিসের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে চান জানিয়ে বিউটি বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলর আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি এ বিষয়টি সমাধান করতে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবার ময়নাতদন্ত করতে দেয়নি।