হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও ন্যাশনাল মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করার জেরে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, গতকাল সোমবার একটি প্রতিবেদনের জন্য বক্তব্য নিতে চাইলে হাসপাতালের ইমরান নামে এক চিকিৎসক হুমকি দেন। তিনি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে কর্মরত। চিকিৎসক এভাবে গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি দিতে পারেন কিনা।

জবাবে হাসপাতালের উপ–পরিচালক মো. রেজাউল হক বলেন, ওইটা তিনি ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, এ সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেন না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হওয়ার সময় ওই প্রশ্নের জেরে হঠাৎ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রশ্নকারী সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মহিমা আক্তার শেফাকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় আমি বক্তব্য জানতে ফোনকল দিই। পরে ডা. শেফা বক্তব্য শেষ না করেই ফোন কেটে দেন। কিছুক্ষণ পর তাঁর ভাই হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডাক্তার ইমরান আমাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন, হুমকি দেন। এই ঘটনাটি আজ সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপন করি। এরপর সব সাংবাদিক এর প্রতিবাদ জানিয়ে চলে আসার পর হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ডাক্তারেরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের ব্যবহার দেখে আমি বিস্মিত!

সাংবাদিকেরা জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। তাঁরা চিৎকার শাসিয়ে শাসিয়ে বলার চেষ্টা করেন, ওই চিকিৎসকের আচরণের কারণে আজকের সংবাদ সম্মেলনের ইস্যু যেন সাংবাদিকেরা ধামাচাপা না দেন। শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যু যে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে ঘটেনি সেটি জানাতেই আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা আরেক সাংবাদিক মুজাহিদ বিল্লাহ বলেন, সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার কাম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নই যদি না নিতে পারে তাহলে সাংবাদিকদের আসার অনুরোধ কেন জানানো হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যারা জড়িত তাদের আমরা শাসন করেছি। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা হুটহাট কী করে! মাথা গরম ওদের। ওদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে সরি!

উল্লেখ্য, ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর জেরেই গত শনিবার শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছিলেন। সেখানে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। পরদিন এর প্রতিবাদে আবার হাসপাতালে সামনে জড়ো হন অন্তত ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর করা হয়। এরই জেরে গতকাল সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি সম্মিলিত নারী প্রয়াসের

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ থেকে ‘খেলনা পিস্তলসহ’ যুবক আটক

হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা