গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে আট ঘণ্টা আগে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে নগরবাসী চেয়ে আছে ভোটের ফলাফল দিকে।
দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল ঘোষণায় পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়। ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করে তৃতীয়বারের মতো আনতে যাচ্ছেন নগর পিতা।
নগরীর ৪৮০টি কেন্দ্রের ভোটারদের দেওয়া ভোটের মোট ফলাফলের মধ্যে ৩৮৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের টঙ্গী বাজার এলাকার বাস ভবনে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। বিজয়ের আভাস পেয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও কর্মী সমর্থকদের আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়। একদিকে চলছে ভোট গণনা। অন্যদিকে প্রার্থীর কয়েকটি কেন্দ্রে বিজয়ের খবর শুনে ক্ষণে ক্ষণে সমর্থকেরা দিতে থাকেন স্লোগান। তবে রাত সাড়ে বারেটার পর লোকজনের আনাগোনা কমতে থাকে।
আজমত উল্লা খানের বাসভবন থেকে বেরিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী নৌকার প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছে। প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চিন্তিত।’
আজমত উল্লা খানের ছেলে জাহাঙ্গীর আজমত খান বলেন, ভোট গণণা এখনো চলছে। ফলাফল শেষে গণমাধ্যমে কথা বলবেন তিনি।
ভোটের ফলাফল নিয়ে আজমত উল্লা খান চিন্তিত এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই চিন্তিত। তবে বিজয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।’