রাজশাহীর পুটিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই কর্মকর্তা শামীম আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁর দেওয়া চার্জশিট বাতিল করেছেন আদালত। আর হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার এজাহার গ্রহণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে চার্জশিট দিতে ১০ দিনের মধ্যে পিবিআইয়ের একজন যোগ্য ও মেধাবী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্ট রায়ে বলেন, পিবিআইয়ের দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল আসামিদের রক্ষা করার জন্য। যা থাকলে বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতেন।
নিহত শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানার আইনজীবী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তৎকালীন ওসি শাকিল আহমেদও কারসাজি করে আসামিদের রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৯ সালে ওসি সাকিলের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন নিগার সুলতানা। পরে পিবিআিইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার পর যা হয়েছে তাতেও আদালত হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
২০১৯ সালের ১০ জুন নিখোঁজ হন পুঠিয়ার সড়ক ও পরিবহন মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। পরদিন একটি ইটভাটা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে তিনি হত্যার শিকার হন বলে অভিযোগ পরিবারের। পরবর্তীতে নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা আটজনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু সেই এজাহার তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ ছিঁড়ে ফেলেন এবং সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর রেখে নিজেরাই একটি এজাহার লেখেন। যা পরে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিচারিক অনুসন্ধান কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে।