জীবিকার জন্য বরগুনার আমতলী থেকে ঢাকায় আসেন মজিবর আকন ওরফে টেক্কা। এরপর গাবতলীর আমিনবাজারসহ মিরপুরে দিনমজুর ও বালুশ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এই পেশার আড়ালে টেক্কা গড়ে তোলেন ভয়ংকর এক ডাকাত দল। যারা দিনের আলোতে দিনমজুর আর রাতের আঁধারে ভয়ংকর ডাকাত।
ছয় বছর আগে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগির সময় বিরোধ থেকে এক সদস্যকে হত্যা করে ফেলে দেন তুরাগ নদে। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন গ্রেপ্তার করে টেক্কাকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা।
তিনি বলেন, ‘টেক্কার দলটি তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুর জাহাজ ও ট্রলার থেকে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি করত। চাহিদা মতো টাকা না পেলেই শ্রমিকদের অপহরণ করত। ২০১৮ সালে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে ডাকাত দলের এক সদস্যকে হত্যা করে টেক্কা ও তার সহযোগীরা। হত্যার পরে লাশ তুরাগ নদে ফেলে দেয় তারা।’
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গত ৯ মে ঢাকার মিরপুর ও গাজীপুর থেকে পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন টেক্কা ও তাঁর সহযোগী শামিম হোসেন।
কুদরত-ই-খুদা বলেন, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় তুরাগ নদে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিলেন মজিবর ওরফে টেক্কা (৪৯)। তাঁর সঙ্গে ছিল রুহুল আমিন ওরফে লেদু (৪৩), শামিম হোসেন (৩৩) ও আজাহার ওরফে আজাদ (৩৩)।
পিবিআই বলছে, আজাদের পরিবার জানত, তিনি গাবতলীতে চাকরি করেন। তবে চাকরির আড়ালে টেক্কার দলে ডাকাতি করতেন আজাদ। এই দলের ক্যাশিয়ার ছিলেন আজাদ। টেক্কার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ঘটনায় ৯টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড রুহুল আমিন ওরফে লেদুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।