ফরিদপুরে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ফিরোজা বেগম (৫৫) নামে এক চিকিৎসক মারা গেছেন। তাঁর পরিবার বলছে, মানসিক সমস্যা থেকে ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ওয়াশিত্ব টাওয়ার-২-এর ১১ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান তিনি। তাঁর স্বামী ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ নিরঞ্জন কুমার দাস। তাঁরা ওই ভবনের সপ্তম তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাঁদের উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া একমাত্র কন্যাসন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের ভবনের দারোয়ান হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ফিরোজা বেগম মানসিক সমস্যায় ছিলেন। তাঁকে প্রতিদিন সকালে ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে দেখতাম। আজ বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ করে শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি ফিরোজা বেগম পড়ে আছেন। মাথা ফেটে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়।’
নিহতের স্বামী নিরঞ্জন কুমার দাস বলেন, তিনি দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফফার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুই ভবনের মাঝের রাস্তায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় লাশের মাথা থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা ধারণা করা হচ্ছে। তবে সঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ফিরোজা বেগম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।