রাজধানীর তুরাগের ভাড়া বাসার মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল ফাতেমা আক্তার (৩৩) নামের এক নারীর অনাবৃত মরদেহ। গত মঙ্গলবার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে চতুর্থ স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তুরাগে বাউনিয়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় ফাতেমা আক্তার নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরা থেকে চতুর্থ স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে তুরাগের বাউনিয়া পশ্চিম মইশাগার এলাকার হায়দারের ভাড়া বাসা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মরদেহটির সন্ধান পায় পুলিশ। পরে থানা-পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের পর দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই নারী রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা পশ্চিমপাড়ার মো. মুক্ত মিয়ার মেয়ে। বাউনিয়ার বাসাটিতে তিনি একাই থাকতেন। তবে তাঁর স্বামী যাতায়াত করতেন।
ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ফাতেমা আক্তারকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে ওই দিনই একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় তাঁর চতুর্থ স্বামী সাইফুল ইসলামকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া ফাতেমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ওসি মওদুত বলেন, গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম রানাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আগামীকাল (শুক্রবার) আদালতে পাঠানো হবে।
হত্যার ঘটনার পর ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দারা আজকের পত্রিকাকে জানান, দরজার নিচ থেকে রক্ত রুমের বাইরে চলে আসে। রুমের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কেয়ারটেকার মো. আলাল দেওয়ানকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানান, দুই মাস আগে বাসাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন ফাতেমা ও তাঁর স্বামী। তবে তাঁর স্বামী নিয়মিত থাকতেন না। তবে আসা-যাওয়া করতেন। যার কারণে অনেকেই ফাতেমার স্বামীকে ভালো করে চিনেনও না। তাঁর কোনো সন্তানও ছিল না।