মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিনটি সরকারি সড়ক দখল করে মোড়ে মোড়ে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। হাসপাতাল মোড়, দরগ্রাম সাটুরিয়া মোড় ও বালিয়াটি সাটুরিয়া মোড়ে এসব অবৈধ স্ট্যান্ড হওয়ায় প্রতিদিনই সেখানে লেগে থাকে যানজট। এতে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।
সাটুরিয়া হাসপাতাল মোড়ের স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি সড়ক দখল করে শতাধিক অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় রাখা রয়েছে। ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি রাস্তা দখল করে গাড়িগুলো রাখা হয়। এদিকে সাটুরিয়ার দরগ্রাম সড়কের ওপর দুপাশে দুই শতাধিক সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কটি প্রশস্ত না হওয়ায় দুপাশ থেকে আসা যানবাহনের কারণে সারা দিনই যানজট লেগে থাকে। বিশেষ করে বড় ধরনের ট্রাক বা বাস এলে বিপদে পড়তে হয় পথচারীদের। এ সড়ক ঘেঁষে রয়েছে সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ ডিগ্রি কলেজ, ইউনাইটেড স্কুল, রফিক রাজু ক্যাডেট একাডেমি, নেধুশাহ কেজি স্কুল ও পশ্চিম কাউন্নারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
রফিক রাজু ক্যাডেট একাডেমিতে সন্তানকে নিয়ে আসা অভিভাবক শেফালি আক্তার বলেন, ‘সড়ক দখল করে স্ট্যান্ড করায় রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। আর অদক্ষ সিএনজিচালকেরা যেভাবে বেপরোয়া গতিতে সিএনজি চালায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সংসারের কাজ রেখে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে আসি।’
সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জমিস উদ্দিন জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে স্কুলের কর্নারে এই সিএনজি-রিকশার স্ট্যান্ড। স্কুল চলাকালীন উচ্চৈঃস্বরে হর্নের শব্দ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও ক্লাসের বিঘ্ন ঘটায়। এ বিষয়ে অনেকবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনো লাভ হয়নি।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. মামুন উর রশীদ জানান, ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনের সড়কে সিএনজিগুলো পার্কিং করে রাখার কারণে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের প্রধান গেটে এক মিনিটের রাস্তায় ঢুকতে সময় লাগে এখন ২০ মিনিট। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অবৈধ স্ট্যান্ড অপসারণের দাবি জানান তিনি।