মানিকগঞ্জের দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলার পদ্মা ও যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় ২১ জনকে কারাদণ্ড ও ৫ জনকে অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দুই উপজেলায় ছয় দিনের অভিযানে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
এ সময়ে জব্দ করা ৪ মণ ইলিশ বিতরণ করা হয়েছে স্থানীয় ৬টি এতিমখানা ও ৫টি মাদ্রাসায়। আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল। মৎস্য অফিস, আনসার বাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা এতে সহায়তা করছেন।
শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ১৩ অক্টোবর থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত পদ্মা-যমুনার শিবালয় অংশে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এই ৬ দিনের কয়েক দফা অভিযানে আটক হয়েছে বিভিন্ন বয়সী ২১ জন শিকারি। তাদের মধ্যে ৩ জনকে ১৫ দিনের ও বাকি ১৮ জনের প্রত্যেককে ১৮ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত চোরা শিকারিরা যমুনার চরাঞ্চলসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত সব ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণসহ অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইলিশ প্রকল্পের ডিপিডি মো. ফরিদ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মিজানুর রহমানসহ পুলিশ সদস্য।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ইয়াকুব কাজী (৬৫), জুয়েল হোসেন (১৯), ইলিয়াস মিয়া (২২), আ. ছাত্তার (২৫) ও চাঁন মিয়া (৬৫)। তাঁদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে বাচামারা-চরকাটারি গ্রামে।