নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে রোববার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় পিটিয়ে জখম করা হয় ভুক্তভোগীকে।
নিহত গৃহবধূর নাম জেসমিন বেগম। তিনি চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার দশআনি গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামী আলী হোসেনের সঙ্গে লাকী বাজার এলাকায় থাকতেন। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের বড় বোন বলেন, ‘জেসমিনের স্বামী আলী হোসেন প্রায়ই টাকা চাইতো আমাদের কাছে। এ জন্য জেসমিনকে মারধর করত। গত রোববার রাতে এই টাকা নিয়ে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয়। মধ্যরাতে আলী আমাদের ফোন করে জানায় জেসমিন মারা গেছে, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সে নাকি স্ট্রোক করছে। কিন্তু এসে দেখি আমার বোনের শরীরে অনেক আঘাতের দাগ। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।’
পুলিশ জানায়, নিহত গৃহবধূর স্বামীর পরিবারের দাবি রাতে সিলিং ফ্যান মুছতে গিয়ে ওপর থেকে পরে যান। এরপর অজ্ঞান হয়ে পরেন তিনি। তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘নিহতের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ বেরিয়ে আসবে। নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’