রাজধানীর ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস ও সড়কে ছাত্র নিহতের ঘটনায় বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের পাশাপাশি রাস্তায় চলাচল করা বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকের লাইসেন্স ও কাগজ যাচাই করতে দেখা যায়।
এ সময় সাভার চন্দ্রা থেকে সদরঘাট রুটে চলাচল করা ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসের চালকের লাইসেন্স দেখতে চাইলে চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি জানান, তিনি বাসের আসল চালক নন। গাড়ির মূল চালক বাসায় গেছেন। তিনি চালকের সহকারী। পরে চালকের আসনে থাকা ব্যক্তিটি মূল চালককে ফোন দেওয়ার কথা বলে সুযোগ বুঝে সটকে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গাড়ির ভাড়া সংগ্রহকারীকে আটক করে পুলিশ।
ধানমন্ডি ২৭-এ কর্তব্যরত পুলিশ সার্জেন্ট রিয়াদ হাসানের কাছে ঠিকানা পরিবহনের বাসটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকানা ও সাভার পরিবহন নামের দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে। এই দুটি বাসই চালকের সহকারী চালাচ্ছিলেন। ঠিকানা পরিবহনের ভাড়া সংগ্রহকারীকে আটক করেছি। আর সাভার পরিবহনের চালকের আসনে থাকা চালকের সহকারী ও কন্ট্রাক্টর পালিয়েছে। আমরা সাভার পরিবহনের বাসটিকে ডাম্পিং করেছি। আর ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসকে মামলা দিয়েছি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছে, রাস্তায় চলাচলরত অধিকাংশ বাসের কাগজে সমস্যা। চালকের লাইসেন্স নেই। আমরা পুলিশের কাছে নিয়ে গেলে মামলা দিচ্ছে।
দুপুর ১২টা থেকে ধানমন্ডি ২৭ এর সড়কে নিরাপদ সড়ক ও হাফ পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।