হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ না করার দাবি

সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক সীমিত এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ না করে বরং ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা ও পরিবেশ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবি জানিয়েছেন দ্বীপবাসী ও পর্যটক–সংশ্লিষ্ট বেসরকারি খাতের অংশীজনেরা। 

আজ শনিবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানান তাঁরা। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পর্যটনশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাফিউজ্জামানসহ আরও অনেকে। 

এ সময় বক্তারা বলেন, যদি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে সরকার এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক সীমিত ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করে, তবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। 

টোয়াব প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমাদের দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিবছর হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক এ দ্বীপে ভ্রমণ করেন এবং রাত্রে অবস্থান করে এর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সেন্ট মার্টিনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দ্বীপগুলো উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিপরীত চিত্র। আমাদের পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে কেন্দ্র করে যে পর্যটনশিল্প গড়ে উঠেছে, তার প্রসার না করে বরং গলাটিপে মেরে ফেলার উদ্যোগ নিতে চায় সরকার। যা দেশের জন্য ক্ষতিকর।’ 

সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য শিবলুল আজম কোরেশী বলেন, টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত পথ নির্ধারণ করে লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দ্বীপে প্লাস্টিকমুক্ত এলাকা বাস্তবায়ন অথবা দ্বীপের প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অক্টোবরের শুরু থেকে মার্চ পর্যন্ত জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে হবে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বীপবাসী এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। 

টোয়াব পরিচালক ইউনুস আলী বলেন, পর্যটকদের সুবিধার্থে বিনিয়োগ বাড়ানো, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানসম্মত সাপোর্ট সার্ভিস এবং দেশে-বিদেশে প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য আরও বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ করে বছরের মাত্র চার মাস, বাকি সময়টাতে সরকার চাইলে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা করা হয় না। সব আলোচনা শুধু পর্যটন মৌসুমেই শুরু হয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারলে কক্সবাজারের পাশাপাশি এই দ্বীপ দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে। 

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ বক্তব্য দেন।

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

রাজনীতিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে গালাগালিতে শত্রুরা উপকৃত হয়: ড. মাহবুব উল্লাহ

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৫ জন কারাগারে

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

দিপু চন্দ্র দাস ও শিশু আয়েশা হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক শক্তি বিক্ষোভ সমাবেশ

আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করল ডিএনসিসি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতার ঘরে আগুন: আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মেয়েকে দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে রিজভী

হাদি হত্যা: মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার সেই হান্নানের জামিন