প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেছেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক দুর্যোগ আঘাত হানছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, পানিসংকট নিরসন, বনায়নসহ অন্যান্য প্রকল্প নিলেও পর্যাপ্ত বাজেটের অভাবে তা যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণে উপকূলের উন্নয়নে আগামী জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া জরুরি।
আজ শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তাঁরা। উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা সব থেকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ। আইলা, আমফান, ইয়াসসহ একের পর এক দুর্যোগের কারণে ওই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে উপকূলীয় এলাকাকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। তাই উপকূলের উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পৃথক বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, দুর্যোগ ও লবণ পানির আগ্রাসনের কারণে উপকূলীয় জনপদে সংকট বাড়ছে। তাই পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বসতি ও ফসলি এলাকায় লবণ পানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতিমধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন—শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনের (পারিজা) সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ।