বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু বলেছেন, ‘এখন রেস্টুরেন্টে গেলে টিকার সনদ চায়। নিবন্ধিত ৮০-৯০ লাখ এবং নিবন্ধন ছাড়া প্রায় কোটির মতো বয়স্ক মানুষ এখনো টিকার বাইরে। আমাদের বুঝতে হবে ঝুঁকি কার বেশি। ঝুঁকিতে থাকা মানুষের টিকা নিশ্চিত না করে বুস্টার ডোজ দেওয়া অনৈতিক, এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়। যেখানে মৃতদের বেশির ভাগই বয়স্ক, সেখানে তারা টিকার বাইরে থাকার কোনো কারণ নেই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কোভিড ১৯, ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন, ডেলটা, অমিক্রন’-বিজ্ঞান, নৈতিকতা, বৈষম্য বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু আরও বলেন, ‘একদিনের লকডাউনে তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। অথচ যদি বিনা টাকায় নমুনা পরীক্ষা করা যেত, প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারতাম তাহলে অর্থনীতি সচল থাকত। এই দেশে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের অর্ধেক বেলা খাবারে জন্য কাজ ফেলে আসা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য মানুষকে টাকা দিতে হবে, তবেই আমরা লকডাউন নামক এই জঞ্জাল থেকে মুক্তি পাব।’
দেশের ১৫ কোটি মানুষকে ৩০ কোটি মাস্ক বিনা মূল্যে দিতে কি সমস্যা উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, ‘সাদা-লাল রঙের দুই ধরনের মাস্ক দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিটি শহরে সাত দিনের মধ্যে মানুষকে সচেতন করা যায়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করেন, এতে সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে, গুরুত্ব দেবে। একই সঙ্গে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্স করার সক্ষমতা আছে, পিসিআর পরীক্ষা একেবারেই সহজ অবস্থায়। তাহলে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে কি এত সময় লাগে?’