ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজীকরণ এবং কয়লাসংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। এ বিষয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি খলিলুর রহমান। কর্মসূচি পরিচালনা করেন মহাসচিব আসাদুর রহমান খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইট প্রস্তুতকারী সমিতির সহসভাপতি সাদরুল ইসলাম, ফিরোজ হায়দার খান, খালেকুজ্জামান, কাজী নাজির আহমেদ মুন্নু, যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক, নজরুল ইসলাম, খাজা নাসির উদ্দিন শান্তি, ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান ও কোষাধ্যক্ষ মোনায়েম খাঁন রাজা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সনের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে জিগজ্যাগ পদ্ধতির ভাটা বৈধ উল্লেখ থাকলেও আইনের ৮ (৩) (ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় দূরত্ব নির্দিষ্ট করার কারণে দেশের অধিকাংশ জিগজ্যাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ২০০২ সনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র এবং ২০১০ সালে পুনরায় অধিকতর পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ ভাটা স্থাপনের নির্দেশে আমরা ভাটাগুলো স্থাপন করি। তারপরও আমাদের নানাভাবে হয়রানি হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
মানববন্ধনে ইটভাটা মালিকেরা বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ও ধারদেনা করে প্রতিটি ইটভাটায় ৩-৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাটায় ২০০–৩০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এখন এসব ভাটা বন্ধ করে দিলে মালিকদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। এ ছাড়া কয়লার সংকট সমাধানেরও দাবি জানান তাঁরা।