ঢাকার ধামরাইয়ের বাসাবাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। আজ মঙ্গলবার সকালে জোসনা ও দুপুরের দিকে সাদিয়ার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শনিবার ভোরের দিকে ধামরাইয়ের কুমড়াইল এলাকার কুব্বত আলীর মালিকানাধীন দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি রুমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার এক দিন পর ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু মরিয়ম।
এ ঘটনায় একই পরিবারের পোশাককর্মী মনজুরুল (৩২), তাঁর স্ত্রী জোসনা (২৫), তাঁদের দেড় বছরের মেয়ে মরিয়ম, স্ত্রীর বড় বোন হোসনা (৩০) এবং ভাগনি সাদিয়া (১৮) দগ্ধ হন। মনজুরুল ও হোসনা চিকিৎসাধীন, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি পরিবারসহ ধামরাইয়ের কুব্বত আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
নিহত জোসনার খালাতো ভাই মো. মাজাহার জানান, শনিবার গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনই দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ভর্তির এক দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোসনার দেড় বছরের শিশু মরিয়মের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোসনা ও দুপুরের দিকে সাদিয়ার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে একজন এবং আজকে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় এসেছিলেন। গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই।