হোম > সারা দেশ > নারায়ণগঞ্জ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বসে যাচ্ছেন আইভীর অনুসারী প্রার্থী 

সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আওয়ামী লীগের দুজন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে একজন সরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। 

বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আবু সুফিয়ান। 

এম এ রশিদ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলয়ের এবং আবু সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মেয়র আইভী বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত। 

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সাইরা গার্ডেন রিসোর্টে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল। এম এ রশিদ ও এ কে এম আবু সুফিয়ানকে নিয়ে বৈঠক শেষে একসঙ্গে ছবি তুলে হাসিমুখে বিদায় নেন তারা। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় সাইরা গার্ডেন রিসোর্টে প্রবেশ করেন আবু হাসনাত শহীদ বাদল। তাঁর আসার বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছিল। প্রায় ২০ মিনিট গাড়িতে অবস্থান করার পর তাঁকে নিয়ে বসানো হয় রিসোর্টের রিসেপশন রুমে। এরপর সাড়ে ৭টায় উপস্থিত হন বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম এ রশিদ। রাত ৭টা ৫০ মিনিটে উপস্থিত হন এ কে এম আবু সুফিয়ান। পরে রিসেপশন কক্ষেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁরা। 

বৈঠক শেষে বের হতেই আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মুখোমুখি হন আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের। প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করতে না চাইলেও পরে একে একে মুখ খোলেন তিনজনই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত আছে। আজকে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। আমাদের দলের যে দুজন প্রার্থী ছিলেন, তাঁরা একজন হয়ে গেছেন। অর্থাৎ, একজন প্রার্থী বসে গেছেন। কে থাকছেন সেটা আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ 

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজকের আলোচনার বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী রোববার প্রেস কনফারেন্স করে জানিয়ে দেব। আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা-কর্মী সেদিন আমাদের পাশে থাকবেন। সেই কনফারেন্সে এলে আপনারা বিস্তারিত জেনে যাবেন।’ 

একই বিষয়ে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদল ভাই আমাদের ডেকে কথা বলেছেন। আমরা একসঙ্গে বসে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা আপনারা রোববার জেনে যাবেন। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’ 

তবে বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই প্রার্থীর মধ্যে এ কে এম আবু সুফিয়ানকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হস্তক্ষেপ না করতে বারবার নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এমপি-মন্ত্রীরা যেন প্রার্থীদের ওপর প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ না করে, সে জন্য সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎসাহিত করা হয়েছে একাধিক প্রার্থিতায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের।

ধানমন্ডিতে ককটেল বিস্ফোরণ

ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়

হাদি হত্যা: আদালতে ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সেই রিকশাচালক

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ, আটক ২

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি, জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট