বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় চলাচল শুরু করেছে যাত্রীবাহী ট্রেন। দীর্ঘদিন বাদে খুলেছে স্টেশন। যাত্রীর পদচারণায় মুখরিত প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া এবং ঢাকার বাইরে থেকে আসা সবগুলো ট্রেনে যাত্রীর চাপ ছিল। তবে ঢাকার বাইরে থেকে আসা লোকাল ট্রেনে যাত্রী সংখ্যাই বেশি ছিল। লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী আসছে।
বুধবার সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ সারা দেশে ২১ জোড়া আন্তনগর এবং ১২ জোড়া লোকাল, কমিউটার মেইল ট্রেন ছেড়ে যাবে।
কমলাপুর রেলস্টেশন সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের খুব একটা ভিড় ছিল না। তবে লোকাল ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের সামনে ছিল যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে থেকে যেসব ট্রেন কমলাপুরে প্রবেশ করছে, সেসব ট্রেনে যাত্রী ঠাসা ছিল। যাত্রীরা অভিযোগ করেছে লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া থেকে তিতাস কমিউটার ট্রেনে কমলাপুর আসা সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী আজকের পত্রিকার কাছে অভিযোগ করে বলেন, 'লোকাল ট্রেনে আগের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তবে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে সিটের চেয়ে অধিক বেশি। তিতাস কমিউটার ট্রেনের মধ্যে যাত্রীর চাপে দাঁড়ানোর কোন জায়গা নেই। আর স্বাস্থ্যবিধির কথা কি বলব। এত যাত্রী নিলে স্বাস্থ্যবৃদ্ধি কীভাবে মানবে। একজন আরেকজনের গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। পুরা ট্রেনে দাঁড়ানো যাত্রীই বেশি ছিল।
এদিক কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষের। স্টেশনে প্রবেশের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া থাকলেও সেটি কেউ ব্যবহার করছেন না। মুখে ম্যাক্স ছাড়া ঘোরাফেরা করছেন যাত্রীরা।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তনগর ও লোকাল ট্রেন চলাচল করছে। আজ এবং কালকের টিকিটের চাহিদা বেশি ছিল। আন্তনগর ও লোকাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে না। কোন ট্রেনে যদি দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হয় তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।'
এদিকে সারা দেশে আজ ৩৮ জোড়া আন্তনগর ও ২০ জোড়া লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে আগেই জানিয়েছিল।