হোম > সারা দেশ > ঢাকা

৯ ও ৫ বছর আগের মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা–কর্মীর কারাদণ্ড, খালাস ৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৯ নেতা–কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তিনটি মামলায় পৃথক রায়ে এই দণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া আদালত তিনটি মামলায় বিএনপির ৪০ নেতা–কর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর দণ্ড কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। 

যেসব মামলায় দণ্ড
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে করা এক মামলায় তিন বিএনপি নেতা–কর্মীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— শাহাদত হোসেন খান ওরফে আমিন, শহীদুল ইসলাম ওরফে জুয়েল ওরফে শহীদ ও মো. জুয়েল মৃধা। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও ভাষা শহীদ ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি প্রাইভেট কারে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে প্রাইভেটকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাইভেটকারটি ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদের। ঘটনার পর বিকেল ৫টায় ড. নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত এ মামলার রায়ে তিনজনকে খালাস দিয়েছেন। 

রাজধানীর খিলখেত থানায় করা এক মামলায় ২০ জনকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে চার বছরের কারাদণ্ড ও সাতজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

চার বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— হাজী এস এম ফজলুল হক, আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, জহির উদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান রেনু, লায়ন সোহরাব হোসেন স্বপন, সৈকতুল ইসলাম সৈকত, শামসুল আলম সরকার, আবু আব্দুল্লাহ, রেজাউল মেম্বার, মজিবুর রহমান মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও আব্দুল করিম। 

দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— শহিদুল ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম মুরাদ, শামীম মোল্লা, মানিক মিয়া, মাওলানা ফরিদুল ইসলাম, এইচ এম সাখাওয়াত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। 

এই মামলায় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, খিলক্ষেত থানাধীন ৩০০ ফুট সংলগ্ন তালেরটেক রাস্তার মুখে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার সময় আসামিরা বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনি সমাবেশ করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের কর্তব্য কাজে বাধার সৃষ্টি করে। 

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানার এস আই আব্দুর রব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩ জুন ৪২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। 

খিলক্ষেত থানার আরেক মামলায় বিএনপির ছয় নেতা–কর্মীকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, নূরে আলম তুহিন, মিজানুর রহমান রেনু, জাকির হোসেন লিটন ও দিদার হোসেন। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি ইউনিয়নের মডেল চেকপোস্টের পূর্ব দিকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা বেআইনি জনতা বদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, ইট পাটকেল ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অপরাধমূলক বল প্রয়োগ, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দিয়ে পুলিশকে আহত করাসহ ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি ও সহায়তা করেন। 

এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ২০১৯ সালের ২৯ মে ২৯ জন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজন কারাগারে

গুলিস্তানের ভবনটিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে দেড় ঘণ্টা লাগে: ফায়ার সার্ভিস

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

দীপু দাসের হত্যাকারীদের শাস্তি না দিলে ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হিন্দু মহাজোটের

৩০০ ফুট থেকে ১৪৮ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে ডিএনসিসি

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

গুলিস্তানে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৯টি ইউনিট

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

লঞ্চ দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে