মেট্রোরেলের পর এবার প্রথমবারের মতো হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিসে চালু করা হয়েছে র্যাপিস পাস টিকিটিং সিস্টেম। মেট্রোরেলের ভাড়া পরিশোধের পাস বা কার্ড দিয়েই এখন এই বাসে চড়তে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বলছে, আধুনিক ভাড়া আদায়ের এই প্রযুক্তি নগদ লেনদেনের ঝামেলা ছাড়াই যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের সুযোগ করে দেবে।
আজ রোববার দুপুরে হাতিরঝিলের এফডিসির মোড়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এই টিকিটিং সিস্টেম সম্পর্কে ডিটিসিএ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে হাতিরঝিলের ১৬টি চক্রাকার বাসে র্যাপিড পাস ও কিউআর কোড প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীরা মেট্রোরেলের জন্য ব্যবহৃত র্যাপিড পাস কার্ড দিয়েই বাসে উঠতে পারবেন।
প্রতিটি বাসের গেটে স্থাপন করা হয়েছে বাস ভ্যালিডেটর মেশিন, যেখানে যাত্রীরা কার্ড ট্যাপ করলেই ভাড়া কাটা হয়ে যাবে। যাত্রীদের বাসে ওঠা ও নামার সময় উভয়বার কার্ড ট্যাপ করতে হবে।
এ ছাড়া বাসে সংযুক্ত জিপিএস সিস্টেম বাসের অবস্থান অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টপেজের নাম ঘোষণা করবে। এতে যাত্রীরা বুঝতে পারবেন, কখন তাঁদের গন্তব্য আসছে, যা ভ্রমণকে করবে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
ডিটিসিএর পক্ষ থেকে বলা হয়, যাত্রীদের সুবিধার্থে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস সার্ভিসের আটটি নির্ধারিত কাউন্টারে র্যাপিড পাস কার্ড সংগ্রহ ও রিচার্জ করা যাবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট স্টপেজগুলোতে স্থাপন করা হবে বুথ, যেখান থেকে যাত্রীরা প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে পারবেন। এ ছাড়া ভাড়া পরিশোধের জন্য কিউআর কোড ব্যবহারের সুবিধা থাকবে।
বাসে এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রীরা যেকোনো জটিলতায় চালক বা সহকারীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাবেন।
আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, শেখ মইনউদ্দিন; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এহসানুল হক; বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম।