বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণে আমরা কাজ করছি। দেশে হলুদ সাংবাদিকতা বেড়ে গেছে। অপসাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব থাকবে না।’ এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করে হয়রানি বন্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল নয়, বরং আইন সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজ বুধবার গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে প্রিন্ট–ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সারা দেশের সাংবাদিকদের একটি ডিজিটাল ডেটাবেইস তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদেরও তাদের কাজে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
পত্রিকা মালিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মফস্বলে সাংবাদিকেরা বেতন পান না। সাংবাদিকেরা কাজ করবে, কিন্তু তাদের বেতন দেবেন না-তা হবে না। ওয়েজ বোর্ডে যে বেনিফিট দেওয়া হয়েছে পত্রিকা মালিকেরা তা মেনে নিন। সাংবাদিকেরা খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাক।’
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা তথ্য অফিসার মো. মাইনুল ইসলাম।
বক্তব্য দেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, উৎপল কুমার সরকার, এম টি কিবরিয়া, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জোবায়ের আহমেদ, সাংবাদিক রবীন্দ্র নাথ অধিকারী, এস এম হুমায়ূন কবীর, আসাদুজ্জামান বাবুল, নীতিশ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রসুন মণ্ডল, মোস্তফা জামান প্রমুখ।
এর আগে বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।