রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ডুবো চরে আটকা পড়া ফেরি ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে পাটুরিয়া থেকে যানবাহন বোঝাই করে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফেরি খানজাহান আলী ডুবোচরে আটকা পড়ে। পরে ফেরিটিকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘আইটি ৯৪’ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।
ফেরিতে আটকা পড়া যাত্রী মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৪ ঘণ্টা ডুবোচরে ফেরির মধ্যে আটকে ছিলাম। মহিলা ও শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি করছিল। আমরা আতঙ্কে ছিলাম কী থেকে কী হয়ে যায়। উদ্ধারকারী জাহাজ আসার পর একটু স্বস্তি পাই, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও যখন উদ্ধার করতে পারছিল না, তখন আবার ভয় পাই। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফেরিটি উদ্ধার হয়।’
খানজাহান আলী ফেরিতে থাকা ডিম বিক্রেতা লাল্টু ফকির জানান, ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাট থেকে ৫টার দিকে ছেড়ে এসে পদ্মা ও যমুনা নদীর মিলন স্থলে ডুবোচরে আটকা যায়। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার কারণে ভয় না পেলেও ফেরিতে থাকা বাসের যাত্রী ও শিশুরা ভয়ে কান্না করতে থাকে। আমি চেষ্টা করেছি কিছু লোককে সাহস জোগাতে। পরে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করলে সবাই সাহস পায়।
লাল্টু ফকির আরও বলেন, খানজাহান আলী ফেরিটি অন্য সব ফেরি তুলনায় কম শক্তিশালী। এই ফেরিটি স্বাভাবিকের তুলনায় পারাপার হতে বেশি সময় নেয়। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। যার কারণে এমন ডুবোচরের সৃষ্টি হবে। কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত পানি মাপার পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়ে দিলে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) খোরশেদ আলম ডুবোচরে ফেরি আটকা পড়ার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় নদীর মাঝে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। ডুবোচরটি ফেরির মাস্টার দেখতে না পাওয়ার কারণে ফেরিটি সেখানে আটকা পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই ফেরিটিকে উদ্ধার করতে উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি ৯৪-কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ফেরিটি উদ্ধার হয়।