সাময়িক বরখাস্ত-সংক্রান্ত সরকারি চাকরি বিধি ১৯৭৩–পার্ট ১ এবং বিধি ৭৩–পার্ট ২ সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক এবং বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সম্পর্কিত এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার এই রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ফরিদপুরের সদরপুর থানার চর চাঁদপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ আজিজ খান। এ পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফরিদপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের। আইনজীবী হুমায়ূন কবির জানান, ২০১০ সালে একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় তিন মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন এম এ আজিজ খান। এ কারণে ২০১৩ সালে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই মামলা চলমান থাকায় তাঁর সাময়িক বরখাস্তের সে আদেশও চলমান রয়েছে।
ব্যারিস্টার পল্লব বলেন, কোনো উপযুক্ত আদালতে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা আইনের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত চাকরির অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিভাগীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অনির্দিষ্টকাল সাময়িক বরখাস্তের অধীন রাখা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এবং ৩২-এর পরিপন্থী। এ ছাড়া এই বিধান নিপীড়নমূলক এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী বলেও জানান তিনি।