দুর্নীতির দায়ে ঢাকার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বাজেট সহকারী জহির উদ্দিন বাবরকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাবরকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মানিলন্ডারিং আইনের অভিযোগে তাকে আরও ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনটির সাজা একটির পর একটি কার্যকর হবে। এ কারণে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায়ে অসাধু উপায়ে অর্জিত ৫ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
আসামি বাবর পলাতক রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত বলেন আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর রায় কার্যকর হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, এক কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেন বাবর। এরপর মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও অবৈধ পন্থায় অর্জিত আয় স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল কাদের ভূঁইয়া ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি জহির উদ্দিন বাবরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর একই কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।