ঘাটারচর থেকে মতিঝিল হয়ে কাঁচপুর রুটে ঢাকা নগর পরিবহনের উদ্বোধন করলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা নগর পরিবহনের বাস রুট পাইলটিং প্রকল্পের শুভসূচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সড়কে যদি শৃঙ্খলা না আনতে পারি ,সব উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। আগামী বছর মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলের অনেক শৃঙ্খলা এসেছে। তবে রাজনৈতিক কর্মীরা মোটরসাইকেলে নিয়ম মানতে চান না। হেলমেট ছাড়া যাত্রী নিয়ে মোটরসাইকেল চালান। বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে।
প্রথমবারের মতো এই সেবা চালু হলো। ঘাটারচর-মোহাম্মদপুর-গুলিস্তান-মতিঝিল-কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রথম দফায় ঢাকা নগর পরিবহনের ৫০টি বাস চলাচল করবে। এর মধ্যে বিআরটিসির ৩০টি দোতলা বাস এবং ট্রান্স সিলভার ২০টি বাস দিয়েই ঢাকা নগর পরিবহনের পরীক্ষামূলক আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। মোট ১০০টি বাস দিয়ে পরিচালিত হবে এই রুটের কার্যক্রম। আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে বাকি বাসগুলোও যুক্ত হবে এই পথে যাত্রী পরিবহনের জন্য। এই রুটের বাসগুলো সবুজ রঙের। বাসভাড়া হবে প্রতি কিলোমিটার ২ টাকা ১৫ পয়সা। কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে ওঠা যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা আমদের জন্য নতুন দিগন্ত। ঢাকা শহরে ৯ হাজার ৭২৭টি বাস চলাচল করে। সড়কে একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি বাসের তুমল প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। মাস শেষে কোনো লাভ হয় না মালিকদের। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে, যানজট তৈরি হচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে গেলে বাসরুট রেশনালাইজেশনের বিকল্প নেই। তবে এটা বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমরা প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্বপ্নের শুভসূচনা করতে যাচ্ছি। গাড়ির চালকেরা এতদিন গালি পেয়েছে, অবজ্ঞা হতে হয়েছে। আজ তারা সম্মান পেয়েছে। তারা এখন মাসিক বেতন পাবে। এখন থেকে এভাবে বাসসেবা চলবে। সড়কে বাসের কোনো প্রতিযোগিতা বা ঠেলাঠেলি করা যাবে না। কোনোো অনুমোদনহীন বাস আর চলতে পারবে না। যে বাস যে রুটের রুট পারমিট নিয়েছে, সেই বাসকে সেই রুটে চলতে হবে। অন্য কোনো রুটে চলতে পারবে না।’
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য, ঢাকা-১০ মো. সাদেক খান এমপি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ আরও অনেকেই।