হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মেয়রের মাস্ক বিতরণ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউ চলছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১০ দিনব্যাপী মাস্ক বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেছে শতাধিক মানুষের জটলা। ঘা ঘেঁষে দাঁড়ানোর মানুষদের মধ্যে তেমন শারীরিক দূরত্ব ছিল না। এ ছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে একাধিক ব্যক্তিকে মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। পরে অবশ্যই ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে মাস্ক ছাড়া ব্যক্তিদের সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসব মুখর পরিবেশে এমন মাস্ক বিতরণ, করোনা প্রতিরোধের চেয়ে, করোনা ভাইরাস বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে। 

ডিএনসিসির মেয়র আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার আগে কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারের বিভিন্ন গলি ঘোরেন। গলিতে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত সবজি মাড়িয়ে মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় মেয়রের পেছনে জটলা করতে দেখা গেছে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। মেয়র কাঁচা বাজারে প্রবেশের আগে ৯০ শতাংশ দোকানিকে মাস্ক ছাড়াই থাকতে দেখা গেছে। শেষ মুহূর্তে অনেকে তড়িঘড়ি করে মাস্ক পরেছেন। কয়েকজন নারী সবজি বিক্রেতাকে দেখা গেছে, মাস্ক নেই তাই মুখে ওড়না পেঁচিয়ে রেখেছেন। 

আতিকুল ইসলাম সবার উদ্দেশ্যে বারবার বলছেন, ‘আমাকে দেখানোর জন্য মাস্ক পরবেন না। নিজের সুরক্ষার জন্যই মাস্ক পরবেন।’ তবে মেয়র কাঁচা বাজার ঘুরে চলে যাওয়ার পর মাস্ক খুলে সবাই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। 

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে মাস্ক বিতরণ করোনা থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাস্ক যখন বিতরণ করছি, তখন মানুষকে দূরে সরানো যাচ্ছে না। মানুষজন পেছনে হুড়মুড় করে পড়ছে। এর মানে এই নয়, আমরা গণ সমাবেশ করছি। তারপরও মানুষকে মাস্ক দিতে হবে। সচেতন করতে হবে, বোঝাতে হবে। আমি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছি, আমার পরিবারে ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে মানা করেছেন এই কর্মসূচিতে না আসতে। তবু মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমাদের কাউকে না কাউকে বলতে হবে। ভবিষ্যতে করোনা প্রতিরোধে যেখানে এমন জন সমাগম হবে, তা আমাদের প্রত্যাহার করতে হবে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের অবশ্যই মাস্ক বিতরণ করতে হবে। তবে এভাবে লোক জড়ো করে মাস্ক বিতরণের কোন মানে হয় না। টুপি বিলিয়ে, যেমন সবাইকে নামাজ পড়ানো সম্ভব নয়। ঠিক শুধু মাস্ক বিতরণ করে, সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এভাবে জন সমাগম করে মাস্ক বিতরণ করলে পত্রিকাতে ছবি আসতে পারে, টেলিভিশনে দেখাতে পারে। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে নতুন কোন মাত্রা যোগ হবে না। অনেক মানুষকে যুক্ত করে, নানা আনুষ্ঠানিকতায় উৎসব উৎসব পরিবেশে মাস্ক বিতরণে করোনা প্রতিরোধের চেয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনসমাগম করা যাবে না, মাস্ক বিতরণের নামে জনসমাগম তো রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার শামিল। এটা তো গ্রহণযোগ্য না।’

হাদি সিঙ্গাপুরে, হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিরা অজানা

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এতিম শিশুদের দোয়া

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের পুনরাবৃত্তি

কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে প্রতারণা: মেইন স্টেজের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আনিস আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেল পুলিশ