জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজকে চার দিন এবং তাঁর স্ত্রী নাজনিন সুলতানাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। ডেমরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত শামিনকে চার দিন ও তাঁর স্ত্রীকে তিন দিনের রিমান্ডে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটা মামলা করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলেন শামিন মাহফুজ। ২০২২ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পরে জঙ্গি নেতা শামিন মাহফুজ স্ত্রীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তখন তিনি বান্দরবানের গভীর পাহাড়ে আস্তানা গাড়েন। শামিন মাহফুজ জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য বান্দরবানের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত নাম। সম্প্রতি তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহযোগিতায় আবারও বান্দরবানের রুমা উপজেলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণকেন্দ্র করেন। এই খবর প্রকাশ হলে আলোচনায় আসেন এ জঙ্গি নেতা। তাঁকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। জঙ্গি কর্মকাণ্ডের উসকানি দাতা অর্থ জোগানদাতা এবং তাঁদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
এর আগে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ থানচির বলিপাড়ার কলাইপাড়া এলাকা থেকে শামিন মাহফুজ ও তাঁর সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে আটক করেছিল পুলিশ। সে সময় তিনি জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দলনেতা ছিলেন। ওই সময় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বান্দরবানজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে বেরিয়ে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।